ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কতজনই না কত কিছু করেন। কেউ নিয়ম করে পার্লারে যান আবার কেউ দামি প্রসাধনী ব্যবহার করেন।
তবে বাজারচলিত বিভিন্ন প্রসাধনী ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালোর চেয়ে বরং খারাপই করে বেশি। কারণ সব ধরনের প্রসাধনীতেই থাকে বিভিন্ন ক্যামিকেল। যা ত্বক ও চুলের বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে।
তাই প্রাকৃতিক উপাদানে ভরসা রাখুন। আর ভেতর থেকে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে খাদ্যতালিকায় একটু ভিন্নতা আনুন। কিছু খাবার আছে যেগুলো ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী।
>> গাজরে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফাইবার ও ভিটামিন এ। যা ক্যানসার প্রতিরোধের পাশাপাশি ত্বকের লাবণ্যতা বৃদ্ধি করে ও ঠোঁটের রঙ গোলাপি করে।
>> লেবুতে ভিটামিন সি থাকায় ত্বকের পাশাপাশি চুলও মসৃণ হয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি গ্রহণ করা সবার জন্য জরুরি।
>> দুধ অ্যান্টি এজিং হিসেবে কাজ করে। এমনকি আদর্শ খাবার হওয়ায় চুল ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় দুধ।
>> মাছে ভিটামিন ই ও উচ্চমানের প্রোটিন থাকে। যা চুল লম্বা করার পাশাপাশি নানা সমস্যার সমাধান করে।
>> গ্রিন টির স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। নিয়মিত দুধ চায়ের বদলে গ্রিন টি পান করার অভ্যাস করুন। ফলে ত্বকের কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি অ্যান্টি এজিংয়ের কাজও করে।
>> প্রতিদিন সকালে অথবা দুপুরের খাবারের আগে খাদ্যতালিকায় বাদাম রাখুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতার পাশাপাশি চুলের ঘনত্ব বাড়ায়।
>> শরীর সুস্থ রাখতে দৈনিক ৩-৪ লিটার পানি খাওয়া জরুরি। দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার ফলে ত্বকের আর্দ্রকা বাড়ে ও উজ্জ্বল দেখায়।
>> টমেটোতে থাকে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা ত্বকের সব সমস্যার সমাধান করে।
>> একটি কমলার চেয়েও বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায় আমলকিতে। এতে ১০০ শতাংশ ভিটামিন সি থাকে। যা ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়। এমনকি চুল পড়াও বন্ধ করে।
>> নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলেও ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।